বাংলাদেশ সরকার ২০২৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে “অপারেশন ডেভিল হান্ট” নামে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করে। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংহত করা এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনই ছিল এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। বিশেষ করে, গাজীপুরে সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রেক্ষাপটে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের এক এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ছাত্র ও সাধারণ জনগণ হতাহত হন। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা দেখা দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে জরুরি বৈঠকের পর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই অভিযানের প্রধান লক্ষ্যসমূহ হলো:
=> সন্ত্রাসীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা
=> দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করা
=> জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
=> সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও দমন করা
=> অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা
=> অভিযান পরিচালনায় নিয়োজিত বাহিনী
অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনার জন্য একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একযোগে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে:
=> বাংলাদেশ পুলিশ
=> র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
=> বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)
=> বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
=> ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি)
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এসব বাহিনী অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান পরিচালনা করছে।
সরকার এই অভিযানকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে ঘোষণা করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অধিকাংশ মানুষ সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও কিছু মানবাধিকার সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, নিরপরাধ ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। অপারেশন ডেভিল হান্টের প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে যে, এই অভিযান দীর্ঘমেয়াদী হবে এবং সন্ত্রাসের মূল উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।