নতুন বছরে চমক হয়ে এলো তাহসান খানের জীবনের এক নতুন অধ্যায়। জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা ও গীতিকার নতুন জীবন শুরু করেছেন মেকআপ আর্টিস্ট ও উদ্যোক্তা রোজা আহমেদের সঙ্গে। জীবনের এতগুলো বছর যেখানে তিনি সুর আর অনুভূতির গল্প বুনেছেন, সেখানে এবার নিজের হৃদয়ের গল্পে যোগ করলেন এক নতুন সঙ্গী।
এই খবর নিজেই নিশ্চিত করেছেন তাহসান। তবে এতদিন কোনো গুঞ্জন ছাড়াই ভক্তদের কাছে এমন আনন্দবার্তা পৌঁছানোর জন্য যেন তিনি অপেক্ষা করছিলেন। খবরটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে অভিনন্দনে ভাসিয়ে দিচ্ছেন। যদিও এই ঘটনা অনেকের জন্যই ছিল পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত।
রোজা আহমেদের পরিচয়টি যেমন চমৎকার, তেমনি অনুপ্রেরণাদায়ী। তিনি নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর পড়াশোনা শেষ করে অর্জন করেন কসমেটোলজি লাইসেন্স। নিজের দক্ষতা আর পরিশ্রম দিয়ে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে প্রতিষ্ঠা করেন “রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার”। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন, আর সেই পরিচিতি এবার তাহসানের জীবনের সঙ্গী হয়ে নতুন গল্পের শুরু করলো।
তাহসান খান, যিনি বাংলাদেশের বিনোদন জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সঙ্গীতে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল বিখ্যাত ব্যান্ড “ব্ল্যাক”-এর সঙ্গে, যেখানে তার সৃষ্টিশীলতা মিশেছিল শাস্ত্রীয় ও আধুনিক সুরের এক অপূর্ব মিশ্রণে। পরবর্তীতে তিনি একক গায়কের পরিচয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার সুরের মায়া, গান লেখার অনুভূতি, এবং অভিনয়ের গভীরতা সব মিলিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রিয় তারকা।
তাহসানের ব্যক্তিজীবনও ছিল আলোচিত। ২০০৬ সালে তিনি বিয়ে করেন অভিনেত্রী মিথিলাকে। তাদের দাম্পত্য জীবনের ১১ বছর পর আসে বিচ্ছেদ, যা ভক্তদের কাছে ছিল হৃদয় বিদারক এক ঘটনা। তাদের একমাত্র কন্যা, আইরা তাহরিম খান, সেই সম্পর্কের এক মধুর স্মৃতি হয়ে আছে। যদিও বিচ্ছেদ তাদের ব্যক্তিগত জীবনের সিদ্ধান্ত ছিল, ভক্তদের হৃদয়ে তাদের জুটি চিরকাল থেকে যাবে।
তাহসানের নতুন এই অধ্যায় যেন তার জীবনে এক নতুন সূচনা। প্রেম, সঙ্গীত, অভিনয়, এবং পারিবারিক জীবনের জটিল বাঁকে অবশেষে তিনি খুঁজে পেয়েছেন এক নতুন স্বপ্ন। এই বিয়ে শুধু তার জীবনের এক নতুন অধ্যায়ই নয়, বরং এক নতুন আশা, নতুন গল্প।
এই নতুন যাত্রায় তাহসান এবং রোজার জন্য ভক্তদের শুভকামনা অশেষ। তাদের সম্পর্কের এই বন্ধন যেন জীবনভর সুরেলা থাকে, ভালোবাসার গল্পে ভরা থাকে। জীবন যেমনই হোক, তাহসানের সুরের মতোই মধুর ও প্রাণবন্ত থাকুক তাদের পথচলা।